ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে যা বললেন সারজিস

২০২৫ জানুয়ারি ০৪ ১৬:৫৬:৫০
৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়াদের নিয়ে যা বললেন সারজিস

ডুয়া নিউজ: ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত পর্যায় থেকে বাদ পড়েছেন ২৬৭ চাকরিপ্রার্থী। এরই মধ্যে পুনরায় প্রজ্ঞানে অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন বাদ পড়া প্রার্থীরা। এবার ভ্যারিফিকেশনে বাদ পড়া প্রার্থীদের পক্ষ নিয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টা ৫১ মিনিটের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেন তিনি।

স্ট্যাটাসে সারজিস আলম লেখেন, আওয়ামী লীগের সময়ে আওয়ামী লীগ পরিবার ব্যতীত অন্যান্য পলিটিকাল ব্যাকগ্রাউন্ড থেকে আসা যে কারও জন্য এই প্রথম শ্রেণির সরকারি চাকরি পাওয়া কঠিন বিষয় ছিল। একই ধরনের একটি চিত্র যদি এখন দেখা যায় তাহলে পার্থক্যটা কোথায়। যে চাকরিপ্রার্থী, সে যদি নিজ যোগ্যতায় প্রিলিমিনারি, রিটেন, ভাইবা পাস করে সুপারিশপ্রাপ্ত হয় এবং তার যদি পূর্বে কোনো অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে তার বাবা, চাচা, মামা, নানার রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে তাকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করা হবে কেন। আমি কী করবো সেটা কি আমার চাচা নির্ধারণ করতে পারে? কিংবা আমার চাচা কী করবে সেটা কি আমি নির্ধারণ করতে পারি?

সারজিস বলেন, একটা সময় পরে সবাইকে ব্যক্তিগত জীবন গোছাতে হয়। ইভেন, আমার বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের সঙ্গে আমার চিন্তা ভাবনার মিল নাও থাকতে পারে। তাহলে পরিবারের কোনো একজন সদস্যের রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডের কারণে অন্য একজন সদস্যকে বঞ্চিত করার অধিকার রাষ্ট্র পায় কি-না।

জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক বলেন, সবচেয়ে বাজে ব্যাপারটা এবার হয়েছে- গোয়েন্দা সংস্থার অনেকে গিয়ে এবার ইউনিয়ন আর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সেক্রেটারির কাছে বিভিন্ন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত চাকরি প্রার্থীদের পরিবারের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা জানতে চেয়েছে। তার মানে সারা জীবন অধ্যবসায় করা বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট এক মেধাবী তরুণ প্রায় ৩ বছর দিনরাত এক করে পড়াশোনা করার পর প্রিলি, রিটেন, ভাইবা পাস করে ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হওয়ার পর কোনো এক ওয়ার্ড সভাপতি সেক্রেটারির মতামতের কাছে জিম্মি হয়ে যাবে? সে তার কর্ম নির্ধারণ করবে? তাহলে এতো আয়োজনের কী দরকার ছিল?

তিনি আরও বলেন, এই ভ্যারিফিকেশন তো তাহলে প্রিলির আগে হয়ে যাওয়া উচিৎ। তাহলে তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়গুলো নষ্ট হতো না। আর কোন যোগ্যতার ভিত্তিতে সে এই মতামত দেয়? স্থানীয়ভাবে এমনিতেই নেতিবাচক একটা পলিটিক্স দেখা যায়, কে কারে ল্যাং মেরে উঠতে পারে! যদি একজন চাকরি প্রত্যাশী এমন স্থানীয় পলিটিক্সের শিকার হয় তাহলে সে দায় সরকার নেবে কি-না?

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে