ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১০ মাঘ ১৪৩১

নতুন বছরে বাড়তে পারে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম

২০২৫ জানুয়ারি ০২ ১১:১২:১৯
নতুন বছরে বাড়তে পারে যেসব ভোগ্যপণ্যের দাম

ডুয়া নিউজ: নতুন বছরের শুরুতেই সংসার খরচ আরও বাড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর চাপের কারণে ৬৫টি পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানো হচ্ছে। এতে করোনাভাইরাসের মতো সংকটের পরবর্তীতে আরও একটি চাপের মুখোমুখি হতে হবে সাধারণ মানুষকে।

অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে, নতুন ভ্যাটের তালিকায় রয়েছে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, এলপি গ্যাস, গুঁড়া দুধ, বিস্কুট, আচার, টমেটো কেচাপ, সিগারেট, জুস, টিস্যু পেপার, ফলমূল, সাবান, ডিটারজেন্ট পাউডার, মিষ্টি, চপ্পল, বিমান টিকিট ইত্যাদি। এসব পণ্যের দাম বাড়লে বাজারে মূল্যস্ফীতি আরও বৃদ্ধি যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাপনে প্রভাব ফেলবে।

আইএমএফ-এর শর্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশকে কর-জিডিপির অনুপাত ০.২ শতাংশ বাড়াতে হবে; যা টাকার অঙ্কে প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার বেশি। এতে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা (চার লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) এর সঙ্গে যুক্ত হবে।

মোবাইল ফোনে কথা বলা ও ইন্টারনেট খরচও বাড়ানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। গত অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করার সময় মোবাইল ফোনের সম্পূরক শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল এবং বর্তমানে এটিকে ২৫ শতাংশে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর ফলে ১০০ টাকা রিচার্জে গ্রাহকরা ৬৭ টাকার সেবাই পাবেন।

এছাড়াও, জীবন রক্ষাকারী ওষুধের সরবরাহের ভ্যাট হার ২.৪ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে, ফলে এ ধরনের পণ্যের দাম বাড়বে। এলপিজি গ্যাসের দামও বাড়বে, কারণ এর সরবরাহ পর্যায়ে ভ্যাট সংখ্যা ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭.৫ শতাংশ করা হয়েছে।

হোটেল ও রেস্তোরা খরচও বাড়বে। খাবারের উপর ১৫ শতাংশ অতিরিক্ত ভ্যাট চাপানো হলে ব্যবহারকারীদের জন্য খরচ বাড়বে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূল্যস্ফীতি ১৩ শতাংশের ওপরে থাকা অবস্থায় ভ্যাট হার বাড়ানো হলে সাধারণ মানুষের সমস্যা আরও বেড়ে যাবে। বর্তমানে ভ্যাটের মতো জটিল নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হলে ছোট ব্যবসাগুলি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, যা কর্মসংস্থানে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

অন্যদিকে, বিমান টিকিটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে অভ্যন্তরীণ রুটে আবগারি শুল্ক ৩০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা এবং আন্তর্জাতিক রুটে ৩ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪ হাজার টাকার করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এখন প্রশ্ন উঠেছে, হাঁসফাঁস অবস্থায় কিভাবে নাগরিকরা এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে, বিশেষ করে যে সময়ে চাল, তেল, চিনি আমদানির শুল্কও হ্রাস করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য সরকারের আরও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে